বাগেরহাটের চিতলমারীতে যুবদল নেতা পরিচয়ে দুই জেলের (মৎস্যজীবি) কার্ডের চাল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় গ্রামবাসিরা মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধনে শেষে ভুক্তভোগী রঞ্জিত পান্ডে ও পরিমল বালা সাংবাদিকদের জানান, সরকারি ভাবে তাঁরা মৎস্যজীবি কার্ডে জনপ্রতি ৭৬ কেজি চাল পান। ১৩ মার্চ দুপুরে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উক্ত চাল নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে ইস্রাফিল শিকদার, শাহা আলম শিকদার ও আরিফুল ইসলাম ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং হুমকি-ধামকি দিয়ে ওই দুই জেলের চাল থেকে অর্ধেক চাল কেড়ে নেয়। ঘটনার পর তাঁরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
ইস্রাফিল শিকদার উপজেলার চরডাকাতিয়া গ্রামের সত্তার শিকদারের ছেলে ও শাহা আলম শিকদার একই গ্রামের আরিফুল শিকদারের ছেলে এবং আরিফুল ইসলাম ওই গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে।
ঘটনার ৪দিন পর সোমাবার দুপুরে চাল কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে গ্রামবাসিরা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে এলাকার নারী-পুরুষেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইস্রাফিল শিকদার বলেন, ‘চাল কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।’
চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অনিমেষ পান্ডে জানান, কিছু লোক জোর করে জেলে রঞ্জিত পান্ডে ও পরিমল বালার কার্ডের চাল কেড়ে নিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসিরা মানববন্ধন করেছেন।
চিতলমারী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জাকারিয়া মিলন বলেন, ‘শুনেছি ওই এলাকার ইস্রাফিলসহ কিছু লোক যুবদলের নাম ভাঙিয়ে চলে। আসলে তাঁরা যুবদলের কেউ নয়। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তা বরদাস্ত করা হবে না।’
চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ বলেন, ‘এ বছর এ উপজেলায় ৪১০ জন মৎস্যজীবির তালিকা করা হয়েছে। এরমধ্যে চরবানিয়ারী ইউনিয়নে ৪০ টি কার্ড। মৎস্যজীবির চাল কেড়ে নেওয়া অপরাধ। কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খুলনা গেজেট/এএজে